Jum Literature

তারুণ্য মানে বুকে অফুরন্ত সাহসের মেলা তারুণ্য মানে জীবন সংশয়ে রেখে জীবন নিয়ে খেলা, তারুণ্য মানে তেজদীপ্ত যৌবনের চঞ্চলতা তারুণ্য মানে সর্বদা গরমে ভরপুর থাকে মাথা। তারুণ্যের বয়স মানেনা কোনো বাঁধা তারুণ্য মানে বিপদ নিয়ে খেলবে সদা, তারুণ্য মানে অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াকু সৈনিক তারুণ মানে জাতির দুর্দশায় মুক্তির প্রতীক। তারুণ্য মানে রাজপথে মিছিলের বজ্রকন্ঠ স্লোগান তারুণ্য মানে জাতির তরে গাইবে মুক্তির জয়গান, তারুণ মানে জঙ্গল কাঁপানো রাইফেলের বাহক তারুণ্য মানে দুর্বার অপ্রতিরোধ্য গল্পের কথক। তারুণ্যের মনে বাসা বাঁধতে পারেনা কোনো ভয় তারুণ্য মানে জীবনের সংগ্রামে করবে জয়, তারুণ্যের বয়স জানেনা আপোষ মানে কী? তারণ্যের বয়স জানেনা ভীরু মানে কি? তারুণ্য মানে দুঃসাহসিক অভিযাত্রী তারুণ্য মানেনা ভালো-মন্দের কাজে দিবা-রাত্রি, তারুণ্য মানে ভাঙ্গা গলায় ধরতে জানে গান তারুণ মানে আটারো বয়সী চঞ্চল প্রাণ। আমি কবি নয়,লেখক নয়।কবিতাকে ভালোবাসি বলে কিছু লেখার চেষ্টা করি।আমাদের বর্তমান তরুণ এখন আর সাহসী নয়,ডুবে আছে রঙ্গিন জীবনের মূর্ছনায়।অবশ্যই এর জন্য সমাজব্যবস্থা কম দায়ী নয়।

প্রিয় সুধী, "জুম সাহিত্য-Jum Literature"পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে বিজু/সাংগ্রাই/বৈসুক/বিষু/বিহু-র প্রাণবন্ত শুভেচ্ছা।পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত আদিবাসীদের কাছে বিজু/সাংগ্রাই/বৈসুক/বিষু/বিহু প্রাণের উৎসব।কিন্তু 'করোনা'র মহামারির পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বের সাথে থমকে গেছে  বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল।যার কারণে পার্বত্য অঞ্চলে এবার প্রাণের উৎসব পালন করা হচ্ছেনা।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মোতাবেক সকল নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে।তাহলে করোনা'র পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসবে। পুরোনো বছরকে বিদায় এবং নব বর্ষ বরণে  গতানুগতিকভাবে অনুষ্ঠান হোক বা না হোক,ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ঘরোয়া ভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যায়।বিশেষ দিনে সর্বস্থরের কাছে আমাদের আহবান থাকবে স্ব-স্ব ভাষা,সাহিত্য,সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য  সংরক্ষণে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে।জাতির অস্থিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য ভাষা,সাহিত্য,সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা আবশ্যক। পরিশেষে বলবো,এতদিন যারা 'জুম সাহিত্য-Jum Literature'গ্রুপের কার্যক্রম এগিয়ে নিতে সার্বক্ষণিক কায়িক,মানসিক,বাচনিক পরোক্ষ এবং প্রত্...

রাঙাচানরে এচ্চে ভারি হুজি হুজি লাগের।তা মনত বানা এক্কান সিদে ওয়ি দে ইক্কু।মনে মনে হদা দারা বান্দা গরিলো দে, তে যিয়ান সার সিয়ান হামাক্কায় যেনে পারে গরিবো।হেয়ো জনে হবর নঃ পেবাক।হাররে নঃ হবঃ।তা পরানর সমাচ্চে পূণ্যধনরেও না।হিজেনি-যুনি তারে হয় অলে তাত্তুন আক্কে আক্কে যেনেই জিদি লবঃ গোই।বিশ্বেস নেই এ পুণ্যধনরে।বর পাঁজি।সে হেপত হেক্কে গরি তারে ঠোগেনেই নাদেংগো হারি নেয়ে সিয়ান এব সং পরাগ পরাগ গরি ইধোত আগে রাঙাচানর।যেদক বেচ ভাবের সেদক বেচ ম্যুওন এক্কান হবর ন পেয়ে আজালোই পোতপোত্যে ওই উদের তার।হুজিয়ে দোলে দালে ভাতও হে নঃ পারের, ঘুমও যে ন পারের তে।এগপল্লা পেলে হাম ওয়ি।এচ্চ্যে ফুল বিঝু।এযেত্তে হেল্লে মুর বিঝু। রাঙাচানর বাপ্পো বিঝু বাজারত যেয়ে।ভালক্কানি সরং হানি সারা দে রাঙাচানে তা বাবরে। এক্কান ধোপধোপ্প্যে নরম-হরম টেন্নেহানি, চুল আজুরেদে ফুনি, সনুপাউডার-ভালক্কানি।তা বাবে হামাক্কায় আনি দিবো হয়ি।হন্না বেচ দোল দোল সরংহানি পাঝু লক্কে জিতবাত চল সমাচ্চ্যে সমাচ্চ্যে।হালিক রাঙাচানর যুদো সিদে গান বেচ ওয়ি। তা সং সমাচ্চ্যে বেগ বিঝুত্তেই উবোলপাল ওয়োন।হুদু হুদু বিঝু খা যেবাক, হন্না হন্না যেবাক সে পোইদেনে টেম...

দিঃবে হঃ দারিত্তে গরি ফুলসুমুরি গজ টিক্কেট হুরদন।বোইয়েরঃ নাঙ বাচ নেই।হরান্নে অলে এ্যান অকতত চিদ ন বিচ্চ্যে চিকচিক্যে লাগে।দাঙদাঙ্গে চেরোপালা।মাদি চক্কর চক্কর গরি ফাত্তে।গাজত্তুন রাঙা রাঙা বুড়ো অয়ি পাদানি ঝরি যেয়ে।হরান্নের তঅত বেক আঙুরি অয়ি।চিগোন চিগোন ঝুরিঝারি শুগে যেয়ে।বড় ছড়াত পানিনাল মরা মরা ওয়ি।ছড়া পারত বাচবনর ছাবাত ঝরিপোচ্চ্যে ঝারবো নাকসা ফুলুন এবঃ সং পোতপোত্যে আগন।পানি নাল গোদা হুলুগ অয়ি।ছড়া ইযিয়ের হরমে।এ্যান অকতত লাঙেলঃ আদ্ধানত এক্কান চিগোন আলগ ঘর মুত্তি দক গরি থিগেই আগে।ইজোরান তেনজং অয়ি।ভালক বুলোন অয়ি পাপাং, হালিক ঘর নানুবোর সোর গরিবার নাঙবাচ নেই ।ইজোরত হয়িক্কো টেপ পোচ্চে পিলে গচ্চাদন।নারিহুলোর মালালোই বানেয়ে পানি লই দি ধোরোনি গান জলে ধোচ্চে গানি তঅতদ শুগেনেই থগরা মু গরি চেই আগে।ঘরর চেরোপালা বিরবিচ্চ্যে, সাঙসাঙ্গে।ঘরানত বানা দি বুচ্চে বুড়ি থান্ন্যে।দিন্নোবো এলে হামত যান।সাঝ অং অং গরি দে অরান গরি ঘরত ফিরন।বেন্নে ঘুমত্তুন উদিবাক ও হিজেহিচ্চ্যে আধাআত্ত্যে গরি ভাততোন রানন।হলাপাদা লোই মোচা গরি লন।যাদে সলাত আদ্ধানত ছড়াত চাদারাত থাগল ধারেই লন।বুচ্চ্যে বুড়ি হামঝারি মানুচ। সবাই বোজি ন...

তথ্য সাংবাদিকতার কোনো পেশাগত কারণে নয়,স্রেফ বেড়াতে যাওয়ার জন্যই সেবার পাহাড়ে গিয়েছিলাম চাকমাদের সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব বিঝুর আমন্ত্রণে।পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে বিশাল দলবলসহ ১৯৯২ সালের ১১ এপ্রিল সকালে কলাবাগান থেকে লক্কড়-ঝক্কড় বাস 'ডলফিন' পরিবহন ছাড়ে।সেটা শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরেরও বছর পাঁচেক আগের ঘটনা।পাহাড় তখন দারুণ অশান্ত,যুদ্ধ-বিক্ষুব্ধ।জনসংহতি সমিতির সাবেক গেরিলা গ্রুপ শান্তিবাহিনীর সঙ্গে  সেনাবাহিনীর রক্তক্ষয়ী বন্ধুকযুদ্ধ লেগেই আছে। পাশের আসনের সঙ্গী প্রধীরদা(প্রধীর তালুকদার,অখন্ড পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ বা পিসিপির সাবেক নেতা,পরে তিনি যোগ দেন শান্তিবাহিনীতে)পাহাড়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বর্ণনা করেছিলেন।বলছিলেন জলপাই শাসনের ভয়াল রুপ। আশৈশব দেখা তাঁর চিরচেনা পাহাড় দিনের পর দিন বহিরাগত বাঙালি সেটেলারদের দেখলে চলে যাওয়ার বেদনাদায়ক ইতিহাস। বাস খাগড়াছড়ির রামগড়ে পৌঁছানোর পথেই বোঝা যায় আতঙ্কিত জনপদে প্রবেশের যন্ত্রনা।বেশ কয়েক জায়গায় বাঁশকল দিয়ে গাড়ি আটকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা যাত্রীদের নামধাম ইত্যাদির তালিকা তৈরি করে।লাগেজ-ব্যাগেও তল্লাশি হয় কয়েকবার।সফরসঙ্গী ই...

ফুদিবো পহর, আন্ধার ভাঙিনে; এব নুও রং, নুও দিন বন্দা জাগেনে। কুরি ফুলোন ফুদিবাক তুম্বাজে পেক্খোন দুও মিলিবাক আগাজে। . কিজিঙত ফুদিবো পহর, গুমোরত জুলিবো চেরাক, তর মর। আঙোচ্ছের যেধক নিগুচ্যাবল- ঊধি যেব, ঊধিব; এব নুও দিনর ধল। . তারুমত জোলিবো বোম্বা, জুমত; তারাউন জোলিবাক, আন্ধার মনত। অসবন যেধক তর আ মর, ছেয় ওই যেব, উরিব; ভিজিব এলে ঝর। . ইজোত্তুন বাঝি রবো কানসুঘ আনিবো; অনতিত্যার জীংহানি সুঘোপহর দেঘিবো। ধান সিজিওন ধুলিবাক, আল্যেং ঝারিনে রানজুনী উদিবো সাতরং সিধিনে! . আঝার বঝরর যেধক আন্ধার; পহর ওই উদিবো মনর বন্দার। জুমগাবুর জুমরান দেঘেয় নাজিবো নুন্যসীল, তাগলক সমার পেই আঝিবো। . নুও দিনর সবন . বিকেন চেগে . ৯.৪.২০ মায়াসোটা, আমনগুধি . রঅভে দ নিগুচ্যাবল -তোচ্ছে, দুঘ খাবানা জুমগাবুর-তুজিম জুম, ভরনভিরোন জুম জুমরান-দোল, সৌন্দর্য অসবন-দুঃসবন, বজং চিদে!

বিঝু আহ্'ঝি খুঝি গরি ফিরি এযে বঝর বঝর বিঝু কুরে কুরে গাঝত্ ফুল ফুদোন নানা বাবদর, নুঅ রঙে সাজি উধে মুরোল্যা চাগালার ভরন্দি আদামানি খুঝি খুঝি অয় মুরোল্যা চাগালার বেক মানেয়র মনানি, মোনোবী দাগি ঘরানি সাজে তুলোন মনর আহ্ওঝে দঘিনো বোয়েরত মনান জুরে যেদ ফুলর তুম্বাঝে সারাল্যা আদাম ভরন অয় যেদ রেঙে গীদে আহ্'ঝি খুঝিয়ে মনত্ ন থেদ কন বজঙ চিদে। মা গঙারে সাক্ষী রাগে সিঝি বিন্যা মাধানত্ ছরাত ফুল ভাহ্'জেদঙ ফুল বিঝু হেনত্, বিঝু দিনত্ বেগে বেড়েদঙ সঙ সমারে মনর দুঘকানি ভাহ্'জে দিদঙ পুরোন বঝরর গঙারে। মন আহ্ওঝে নুঅ বঝর গুঝি লদঙ তবনা গরি  বঝরবো সুঘে থেদঙ। মাত্তর,এ বঝর বিঝু আহ্'ঝি খুঝি গরি আমা সিদু ন এযেহ্ ফিরি, বিঝুর কন চিদে আহ্ খুঝি নেই মনানত জীংকানি গঙে যার দিনে রেদে ঘর আন্ধারত। যিন্দি যেব সুনানা মানেয়র মরা কিজেক সারানা বাজি থেবার চিদে লোয় মানেয়র আহ্'ভিলেচ খানা। পুর:৯.০৪.২০২০

কোনো এক ভীষণ ভারী জ্বলন্ত অগ্নিপিন্ড থেকে আজকের এই অসীম রহস্যময় মহাবিশ্বের সূত্রপাত ঘটেছিল।বিস্ফোরণের সেই ধ্বনি আজও মহাবিশ্বের প্রতিটি কণায় কণায় প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। প্রকম্পিত হচ্ছে গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে, নক্ষত্র থেকে নক্ষত্রে।বিস্ফোরণের সেই যে চমকে ওঠা ঝিলিক তা বারবার প্রতিফলিত হচ্ছে মহাবিশ্বের এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।সারা বিশ্বে আলোর ছড়াছড়ি।তাইতো কবিগুরু গেয়ে ওঠেন,  "আলো আমার, আলো গো ভাই, আলোই ভুবন ভরা।" কিংবা "আনন্দলোকে, মঙ্গলালোকে, বিরাজ সত্য সুন্দর।" আলোর মঙ্গলময় দ্যুতিতে জাগরিত হচ্ছে প্রাণের পরমাত্মা।অর এই পরমাত্মাতে যেন অবিরাম প্রাণের কম্পন উঠানামা করছে প্রতিনিয়ত সেই গগনবিদারী বিকট বিস্ফোরণের মহাশব্দের রেশে।আর বিস্ফোরণে উদ্ভব তাপটুকু যেন আমরা বহন করে চলেছি বংশ থেকে বংশধরে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পরিমাপে।কি এই মহাবিস্ফোরণ? কেন হলো? কিভাবে হলো? এ যেন এক চির রহস্যময় অভেদ্য গোলকধাঁধাঁ।এসব রোমনঞ্চকর কাহিনী শুনলে শিড়দারা দিয়ে যেন এক অজানা উত্তেজনার অনুভূতি নেমে যায়।এ বিস্ফোরণের নাম হলো "বিগ ব্যাঙ"।এই বিস্ফোরনের পর থেকে সময় মাত্রাকে সঙ্গে নিয়ে শুরু...

মুই আহধিক, আহদি বেরাং চিন্যা নচিন্যার জাঙালত; মাদি বেরাং, মাদে যাং চিন্যা নচিন্যা অভেদর বন্দা। এ নিখিলর নিখিলী যারা, তারালোই বনজুরি যাঙ জাদর ভাচ, জাদর নাঙ তারারে মুই চিনেই যাঙ, সুনাঙ। . তারা কন, আমক অন মঅ জাদর নাঙান সুনিনে, নচিনন। মুই কঙ, মরে চ মুই সেজাদর পুও যেজাদরে তুমি নচিনহ্। তারা, আঝিনে মরে কন নধ সুনঙ তমা জাদর নাঙ মুই কঙ, সালেন মনত রাঘঅ মুই চাঙমা, চাঙমা ম জাদ নাঙ। . এ ভবত চিরোকিত্তে যেধক খুচ ফেলেওং ঈধোত নেই মাত্তর দেখ্যা, মাদেয়্যা যেধক নিজেনী আঘে ঈধোত উধে। রুক্খামুলে জিরেওং, জুরোউদঘে পঞ্চক্খন্ডরে জাগেওং অঝার গাঙ, চিগোন ছরা বেরেওং চিন্যা নচিন্যার সমারে! . মুই আহধিক, আহদি যেম, বেরে যেম এ চক্কবালত মুই চিনে যেম, কোয় যেম রেগাউন বানীহ্ যেম বন্দা মনত! বেক বরবর মুরোউন্দোই রেগাউন বানীহ্ যেম দরমর সবনানী থোই যেম অক্থর গঙারত য্যান ওই পারন আঘুনলুর! . এ অঝার দেবাত্তলে লাকলাক তারাউন আঝদন চান্দোয়; বমনর বন্দাত ছিদেদি যেম, তারুমর চেদন নুও তম্বার জাগনীত। মুই দেঘে যেম, সুনে যেম আজানীয়া জাদর আজানীকধা মুই সেঘে যেম কেনে আজানী ওই উধন নুও দিনর জেরতম্বা! . খোজ্রেউত্যা কধা . বিকেন...

নাড়েছুড়ির দুগ! অনন্ত চাঙমা রুপে রঙে সাজেয়ি এলো দোল এক্কান নাঙ হিলো বুগোত চাঙমা বাজার নাড়েছুড়িয়ান। চেরোহিত্তে মোনমুড়ো,সাজিয়ে জুম চাগালা বাঙাল তগেলে দারু নেই, দিগিদু চাঙমা বানা মঙলবারে বাজার বজিদু, বেক্কানি পে'ধ হারাঙ মাদাত, লেই মাদাত "মা" বাজারত যেদ উচ্চোপুচ্চোই যেদুং মুই ভিসিআর চা হাদ্য জিনিস দেগিলি জিয়ান মনে হয় 'হা। দুগি মানুচ্চুন বাজ হাবিদাক তবুও এলাক সুগে আদা -আত্তি মনর সুগে, দিন হাদেদাক বেগে। হঠাৎ গুরি সুগো নিজেস বন্ধ অল তারার লারে আগুনে পুড়ি গেল নাড়েছুড়ি বাজার! ২০১৪ সালত এপ্রিলোত পুড়ি গেল বাজারান ধুমো লগে উড়ি গেল,তারার সুগো হবালান! হধক দুগোত এলাক, পিদে পিদে রয়ুন তারা টেঙা থেলেয়ু বাজার নেই, বেক্কানি এল মানা! ঝারো আলু তোগে তোগে হদক পরান বাজানা ওতারা এচ্চুন শুনিলি, বেক্কুন এগত্তর অনা! নয়েল ভাত পানি, নয়েল মিজেল,দুগ আর দুগ জাদর আগুন ফুগেই, ফিরি নয়েজে এভ সুগ! বিধি গেল ৬'বু বজর,মরা গুত্তেয়ুন আগন টিগে ৪ ঘন্টা পদ আদি, বাবুছড়া বাজার হেদাক বেগে! হেট টেঙা গাড়ি ভাড়া হরজ অয়,হি আর গরানা মাদাত বাজারর হাল্লোং বুগি,ঘরত ফিরানা! তবুও এলাক সুগে, জাদত্য...

জুম সাহিত্যের কার্যক্রম শুরু করেছিলাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।জুম্ম জনগোষ্ঠীর ভাষা,সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে রক্ষা,তরুণ প্রজন্মকে সাহিত্যনুরাগী,সংস্কৃতিমুখী এবং সাহিত্য-সংস্কৃতিমনা তরুন প্রজন্ম যাহাতে এক প্লাটফর্মে দাঁড়াতে পারি সে প্রয়াসে অনলাইনভিত্তিক প্রকাশনার মাধ্যম পরিচালনা করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলাম।চিন্তা-ভাবনার ফসল হিসেবে 'জুম সাহিত্য-Jum Literature'নামে ফেসবুকে একটি পেইজ ওপেন করি।সে থেকে যাত্রা 'জুম সাহিত্য' পদচারণা শুরু করে।প্রথমে আমি প্রস্তাব দিয়েছিলাম,আমার সমমনা বন্ধু সুকেশ খীসাকে।আমার প্রস্তাবে সে রাজি হয়েছিল।তারপর আমার  প্রাণপ্রিয় সমমনা ও সংস্কৃতিমনা দুইজন বন্ধু প্রিয় জ্যোতি চাকমা এবং করুণ জ্যোতি চাকমা আমার ডাকে সাড়া দিলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছি। পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠিকে রাষ্ট্রের মূল স্রোত ধারার জনগোষ্ঠীর সাথে ঠিকে থাকতে হলে স্ব স্ব ভাষা,সাহিত্য ও সংস্কৃতি রক্ষা করা প্রয়োজন।জুম্ম জাতীয় অস্তিত্ব স্ব স্ব জনগোষ্ঠীর ভাষা,সাহিত্য ও সংস্কৃতির সাথে ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত।কেননা ভাষা,সাহিত্য ও সংস্কৃতি যদি বিলুপ্তি হয়ে যাওয়া  মানে একটি ...

বিজ্ঞানের পরিভাষায় পৃথিবীতে যত জীব রয়েছে তাদের প্রাণের একক হলো তিনটি মৌলিক পদার্থ-অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, কার্বন।সৃষ্টির সূচনালগ্নে এই তিনটি মৌলিক পদার্থের দ্বারাই প্রথম প্রাণের উদ্ভব এবং বিকাশ ঘটেছিল।ঠিক তেমনি বিশেষ বৈশিষ্ট্য মন্ডিত, স্বাতন্ত্র্য একটি জাতির প্রাণের একক হলো তার নিজস্ব সংস্কৃতি।বিজ্ঞ পাঠক-পাঠিকারা বোধহয় অবগত সংস্কৃতি কাকে বলে।তবুও আলোচনার পূর্বে নির্ধারিত বিষয়টির উপড় সংজ্ঞামূলক তথ্য প্রদানের দাবী রাখে।সংস্কৃতি-এক কথায় সাধারণ ভাবে বলতে গেলে সংজ্ঞাটা ধারায়, "কোনো একটা জাতিগোষ্ঠির যে বৈশিষ্ট্য মন্ডিত বিশেষ বিশেষ ক্রিয়াকলাপ, ইতিহাস-ঐতিহ্য, ভাষা-কৃষ্টি, বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবনধারা রয়েছে তার সামগ্রিক ভাবই হলো সংস্কৃতি"।পার্বত্য চট্টগ্রামে আমরা ১১ টি ভিন্ন ভাষাভাষির জাতিগোষ্ঠি বসবাস করি।আমাদের আদিকাল হতেই নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে। কিন্তু আমাদের মধ্যে যে অভিন্ন মিলটা বিদ্যমান তা হলো আমরা সবাই পাহাড়ে বসবাস করি এবং জুমচাষ করি।তাই আমাদের বৃহত্তর পরিচয়টি হলো আমরা সবাই জুম্ম।কিন্তু বর্তমানের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আমাদের অবস্থাটা ভালো নয়।আমাদের অস্তিত্ব হুমখীর মূখে।অস্তিত্ব সংকটের এ...